গণতন্ত্র না থাকায় বিজয়ের গৌরব ম্লান : বিএনপি

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (বাঁ থেকে)। ছবি : এনটিভি

গণতন্ত্র না থাকায় দেশে আজ বিজয়ের গৌরব ম্লান হতে বসেছে। অভিমত বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিএনপি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তাঁরা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, জনগণকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে দেশে আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

বিজয় দিবসের এই ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাঁদের সবার বক্তব্যে যে বিষয়টি একইভাবে উঠে আসে, তা হলো; যে লক্ষ্য নিয়ে নয় মাসের যুদ্ধ শেষে দেশে চূড়ান্ত বিজয় এসেছিল, সেটা এখন ম্লান হতে বসেছে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই বিজয় দিবসকে আমরা সত্যিকার অর্থে গৌরবের দিবস হিসেবে দেখতে চাই। লজ্জার দিবস হিসেবে দেখতে চাই না। যদি আমরা এই বিজয় দিবসকে গৌরবের দিবস হিসেবে পালন করতে চাই, দেশে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দুর্বার আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা, আজকে এই বিজয় দিবসের একমাত্র শপথ হওয়া উচিত। এবং সেজন্য আমি অনেকের সাথে, সবার সাথে একমত যে আমাদের একটি জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করে জনগণের মধ্যে একটি ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। এবং সেটা সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহৎ দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বেই করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিএনপির নেতারা বলেন, দেশে গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে, যেখানে নতুন প্রজন্মকে প্রতিনিয়ত ভুল ইতিহাস শেখানো হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই আন্দোলন সফল করতে অবশ্যই বিএনপিকে জনগণকে জাগিয়ে তোলার ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা অত্যন্ত জরুরি। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে কোনোদিন কোনো আন্দোলন সফল হয় না। কোনো বিপ্লবও সফল হয় না। তাদের জাগরণের মধ্য দিয়ে অতীতে বাংলাদেশে বিজয়গুলো আমরা অর্জন করেছি। আজকে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সেই জাগরণের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসতে পারব।

বিএনপির নেতারা বলেন, বিজয় দিবসে তাদের শপথ হবে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া।