সংসদে রুমিন ফারহানা

গত ১০ বছরে ৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে

Looks like you've blocked notifications!
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় বক্তব্য দেন। ছবি : সংসদ টেলিভিশন

দেশের টাকা পাচার হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বছরে বিদেশে এক লাখ কোটি টাকার বেশি চলে যাচ্ছে। সেই হিসেবে এক দশকে আট থেকে নয় লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এর বাইরে হুন্ডির পরিমাণ ধরলে আল্লাহ মাবুদ জানেন কত টাকা বিদেশে গেছে!

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় রুমিন ফারহানা এ কথা বলেন। 

রুমিন ফারহানা বলেন, গ্লোবাল ফাইন্যান্স ইন্টেগরিটির তথ্যানুযায়ী প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রায় এক লাখ কোটি বিদেশে চলে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে প্রায় সাড়ে আট থেকে নয় লাখ কোটি টাকা বিদেশে চলে গেছে।

রুমিন ফারহানা বলেন, ২০১৯ সালে সরকারি হিসাব মতে, মন্দ ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালে সেটা কমে দাঁড়ায় এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসে শুনলাম ৮৮ হাজার কোটি টাকা মাত্র। আসলে ব্যাংকে মন্দ ঋণের পরিমাণ কত?

রুমিন ফারহানা বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই শেয়ারবাজার শুয়ে পড়ে। এটা যে কি একটা অদ্ভূত সম্পর্ক এটা এখনও বুঝতে পারিনি।

বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী (আবুল মাল আবদুল মুহিত) স্পষ্ট কথা বলতেন, দলের বিরুদ্ধে গেলেও বলতেন। তিনি বলেছিলেন, ব্যাংক দেওয়া হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। একটা দেশে যখন রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক দেওয়া হয়, তখন সেই দেশের অর্থনীতির কাজ সম্পর্কে বলতে নিশ্চয়ই চিন্তা করতে হয়। যারা ব্যাংকের টাকা লুট করে তাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য একটার পর একটা নতুন আইন হয়। ব্যাংক কোম্পানিতে আইন পরিবর্তন করে এক একটা ব্যাংক এক একটা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন এক পরিবার থেকে তিনজন সদস্য থাকতে পারবেন ব্যাংকের পরিচালক পদে, একাধিকক্রমে তিন মেয়াদে থাকতে পারবেন তারা। এই পরিবর্তনগুলোর কারণে এক একটা পরিবার একটা ব্যাংকের মালিক হয়ে যাচ্ছে। জনগণের টাকার হরিলুট হচ্ছে।

রুমিন ফারহানা বলেন, একবার সংসদে ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা এখনও জানতে পারলাম না। ব্যাংকে যে টাকা থাকে সেটা আমাদের মতো আমজনতার টাকা। সেই টাকা এক ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে আরেক ব্যাংকের পরিচালকদের ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে ঋণ নেয়। ঋণ নেওয়ার সময় তারা জানে এই ঋণ তারা আর পরিশোধ করবে না। এই টাকা চলে যায় বিদেশে।