গভীর সাগর থেকে ৬ দিন পর ১৯ জেলে উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকা ট্রলারের জেলেদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ছবি : কোস্টগার্ড

মাছ ধরার জন্য ট্রলারে করে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন ভোলার মনপুরা উপজেলার একদল জেলে। গন্তব্য অনুযায়ী সমুদ্রে পৌঁছে যায় তারা। তবে, সমুদ্রে বিকল হয় যায় ট্রলারের ইঞ্জিন। জেলেদের নিয়ে সমুদ্রেই ভাসতে থাকে ট্রলারটি। ভাসতে ভাসতে একপর্যায়ে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসে। নেটওয়ার্ক পেয়ে প্রশাসনকে ফোন দিয়ে নিজেদের অবস্থার কথা জানান। অবশেষে ট্রলার ছাড়ার ছয় দিনের মাথায় ১৯ জেলেকে উদ্ধার করল কোস্টগার্ড। একইসঙ্গে উপকূলে টেনে আনা হয়েছে নৌযানটি।

আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ২২ দশমিক পাঁচ নটিক্যাল মাইল উজানে গভীর সমুদ্রে থেকে জেলেদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা সকল জেলেই মনপুরার বাসিন্দা।

আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এইচ এম লুৎফুল মজিদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এইচ এম লুৎফুল মজিদ জানান, গত ২৩ এপ্রিল এফভি ‘সজীব-১’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার মনপুরা থেকে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর সমুদ্রে গিয়ে এক পর্যায়ে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসতে থাকে। ভাসতে ভাসতে গতকাল শুক্রবার বিকল হয়ে যাওয়া ট্রলারটি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে জেলেরা উদ্ধার সহায়তা চেয়ে প্রশাসনকে জানায়। বিষয়টি জানালেও গভীর সমুদ্রে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেনি তারা।

খবর পেয়ে কোস্টগার্ড স্টেশন কক্সবাজার ও কোস্টগার্ডের জাহাজ মনসুর আলী সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আজ কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ২২ দশমিক পাঁচ নটিক্যাল মাইল উজানে গভীর সমুদ্র থেকে ফিশিং ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে অভিযান পরিচালনাকারী দল।

কক্সবাজার কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার সরবরাহ করা হয়। পরে, জেলেসহ ট্রলারটিকে উপকূলে ফিরিয়ে আনা হয়। ট্রলারের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জেলেদের হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’