গাজীপুরে অপহরণের দুদিন পর শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ নারী কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
পূবাইল থানায় মায়ের কোলে উদ্ধারকৃত শিশু মাহাদী। ছবি : এনটিভি

গাজীপুরের পূবাইল থেকে অপহরণের দুদিন পর ছয় মাস বয়সের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িত দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে শিশুটিকে বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেন আদালত।

গ্রেপ্তার ওই দুই নারী হলেন—নেত্রকোনা পূর্বধলার নোয়াগাঁও গ্রামের জিনা বেগম ওরফে লতা (২৮) এবং গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার আমতলীর কেরানীরটেকের আঁখি বেগম (৪০)।

পুলিশ জানায়, অপহৃত ওই শিশুকে মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার আমতলী কেরানীরটেক বস্তি থেকে উদ্ধার করা হয়।

জিএমপির পূবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন জানান, করমতলার আমির হোসেনের বাড়িতে স্ত্রী ও শিশু সন্তান মাহাদীকে (৬মাস) নিয়ে ভাড়া থাকেন ইদ্রিস মণ্ডল। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা পূর্বধলার পোড়াবাড়ী গ্রামে। ইদ্রিস মণ্ডল এলাকায় হকারি করেন এবং স্ত্রী স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। 

সম্প্রতি জিনা বেগম ওরফে লতার সঙ্গে পরিচয় হয় ইদ্রিসের। পরিচয়ের সুবাদে গত দুদিন ইদ্রিসের বাসায় যেতেন লতা। মঙ্গলবার বিকেলে ইদ্রিস মণ্ডল জরুরি কাজে বাইরে যান। এ সময় লতা ইদ্রিসের বাসায় আসেন। 

পরে শিশু মাহাদী ও লতাকে ঘরে রেখে ইদ্রিসের স্ত্রী রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। এ সুযোগে মাহাদীকে নিয়ে পালান লতা। খোঁজাখুঁজি করে সন্তানকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার লতাকে আসামি করে মামলা করেন ইদ্রিস আলী।

এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘বৃহষ্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আমতলী (কেরানীরটেক) বস্তিতে আঁখি বেগমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে। এ সময় লতা ও আঁখিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আঁখি জানায় চার মেয়ে তাঁর। ছেলে না থাকায় ১৩ হাজার টাকায় শিশু মাহাদী হোসাইনকে কিনে নেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুকে বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।’