গাজীপুরে দুটি নির্মাণাধীন ভবনে মিলল দুজনের লাশ

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরের কাশিমপুর থানা। ফাইল ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুরে দুটি নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে দুই ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা।

নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর গোয়ালমারী এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২) ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলাম খন্দকারের ছেলে আমিনুল ইসলাম খন্দকার।

কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, কাশিমপুর থানার শৈলডুবি এলাকার সফর উদ্দিন সাফার নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। স্থানীয়রা ওই দুর্গন্ধের সূত্র খুঁজতে গিয়ে একটি কক্ষের মেঝের বালুর নিচে চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির হাত ও হাঁটুর আংশিক দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জাহিদুল ইসলামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে স্বজনরা নিহতের লাশ শনাক্ত করে।

এসআই মোজাম্মেল আরও জানান, জাহিদুল ইসলাম শৈলডুবি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে নরসুন্দরের (নাপিত) কাজ করতেন। গত ৭ জুলাই তিনি নিখোঁজ হন। স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পায়নি। এ ব্যাপারে তাঁর স্ত্রী রূপালী বেগম ১২ জুলাই থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭ জুলাই জাহিদুল তাঁর বড় ভাইকে বিমানবন্দর থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন।

এদিকে একই থানার পানিশাইল এলাকার একটি ভবনের টয়লেট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওই ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম বাবুলের গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কাশিমপুর থানার এসআই দীপঙ্কর রায় জানান, স্থানীয় পানিশাইল এলাকার পদ্মা আবাসিক এলাকায় জমি কিনে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন বাবুল। দুইতলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি তিনতলার কাজ নির্মাণাধীন ছিল। বাড়িটির দোতলার একটি কক্ষে একাই বসবাস করতেন বাবুল। ভবনের অন্য কক্ষগুলো ভাড়া দেওয়া ছিল। কয়েকদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

ওই বাড়ি থেকে দুদিন ধরে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে ভবনের তৃতীয় তলার একটি টয়লেটের ভেতরে বাবুলের লাশ দেখতে পায় ভাড়াটিয়ারা। এ সময় টয়লেটের দরজা বাইরে থেকে আটকানো ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাবুলের গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় একটি ছুরির অংশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশটি অতিরিক্ত মাত্রায় পঁচে যাওয়ার কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে তাকে হত্যার পর লাশ ওই টয়লেটে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি আজ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’