বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হলে রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশার বাণী শুনতে পারছি। ইতালি লকডাউন তুলে নিয়ে সব ব্যবসা চালু করছে। জার্মানি গার্মেন্টস সেক্টারে অর্ডার দিচ্ছে। অনেক বায়ার পণ্যের জন্য আমাদের চাপ দিচ্ছে। এই অবস্থায় দেখা যাবে, ঈদের পর দিনই গার্মেন্টসগুলো খুলে যাবে।’

আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের বাইরে অনেক দেশে শ্রমিকদের ৫০ শতাংশ বেতন দিয়েছে। কিন্তু আমরা ৬৫ শতাংশ বেতন দিয়েছি। অনেকে বোনাসও দিয়েছে। সরকার আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ওপর আল্লাহ রহমত করছে। আম্পান ঝড় থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করেছে। দুর্যোগ আসবেই কিন্তু আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আর আমাদের সাবধান করার দায়িত্ব সাংবাদিকদের। এখন আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ নাই। আপনারাই পারেন সেগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে।’

সেলিম ওসমান বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সাংবাদিক ও পুলিশ। যদি চিকিৎসকদের সাপোর্ট পর্যাপ্ত না পাওয়া যায় তবে আমাদের করণীয় কী হতে পারে এগুলো আপনাদের মাধ্যমে সুচিন্তিত মতামতের প্রয়োজন।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বিকেএমইএর সহ-সভাপতি (অর্থ) রাশেদ সারোয়ার সোহেলসহ অনেকে।