গুলি খেল, মার খেল, গ্রেপ্তার হয়ে মামলাও খেল ছাত্রদল

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনায় পুলিশ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দুই নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহামুদুল আলম সর্দারসহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে ত্রাস সৃষ্টি ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলা করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় গ্রেপ্তার পাঁচ ছাত্রদল নেতা ছাড়াও আরো ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান, ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রাস সৃষ্টি ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলা করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদল নেতারা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল আলম সর্দার (৩৪), কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল (৩৪) ও মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন নীলয় (৩৫), চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু (৪৩) ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল (৩০)।
ওসি চার রাউন্ড গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহ জানান, কমিটি গঠন উপলক্ষে চট্টগ্রামে সফররত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভার আয়োজন ছিল নাসিমন ভবনের মাঠে। রাত ১০টার দিকে সভা শেষে নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার সময় কোতোয়ালি থানা পুলিশ বিনা কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রথম সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে আটকের চেষ্টা করলে নেতারা বাধা দিয়ে আটকের কারণ জানতে চান। এতে পুলিশ মারমুখী হয়ে লাঠিপেটা করে এবং গুলি চালায়।
গাজী সিরাজ উল্লাহ বলেন, ‘আমিসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে গাড়িতে তুলে নেয়। কিন্তু আমি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যাই।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের গুলিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাঈনুদ্দিন মোহাম্মদ শহীদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক কে এম আব্বাস ও মহানগর ছাত্রদল নেতা গাজী শওকতসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ শহীদ ও আব্বাসকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজসহ অন্তত সাত-আটজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপির ছাত্রসংগঠনটি। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরে তারা পাঁচজনসহ আরো ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।