গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ ব্যবসায়ী নিহত

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩ ব্যবসায়ীর মরদেহ। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিহত এবং এক শিশুসহ দুজন আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যাযর দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাশুর এবং গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের ভেন্নাবাড়ি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের দেবু অধিকারীর ছেলে দীনেশ অধিকারী (৫৫), সন্তোষ বৈরাগীর ছেলে সঞ্জয় বৈরাগী (৩৫) ও মৃত নরেন বৈরাগীর ছেলে মিহির বৈরাগী (৪০) এবং ভেন্নাবাড়ি গ্রামের প্রমথ বালার ছেলে ক্ষুদ্র স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকর বালা (৪৫)। এসময় অপর কাঁচামাল  ব্যবসায়ী পথিক (৪৫) ও শংকর বালার ছেলে রুদ্র বালা (৭) আহত হয়।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার সদর উপজেলার তালা বাজারে কাঁচামাল বিক্রি শেষে চার ব্যবসায়ী নছিমনে করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামে ফিরছিলেন। ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোনাশুর গ্রামে পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ফাল্গুনী পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফলে নছিমনটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ব্যবসায়ী ও নছিমন চালক দীনেশ অধিকারী (৫৫) নিহত হন। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে অপর ব্যবসায়ী সঞ্জয় বৈরাগী (৩৫) ও মিহির বৈরাগীর (৪৫) মৃত্যু হয়। কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা নিয়মিতভাবে সপ্তাহে দুদিন তালা বাজারে গিয়ে সবজি বিক্রি করতেন।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের সদর উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলচালক ক্ষুদ্র স্বর্ণ ব্যবসায়ী শংকর বালা (৪৫) নিহত হন এবং তার ছেলে রুদ্র বালা (৭) মারাত্মক আহত হয়। নিহত শংকর বালা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ভেন্নাবাড়ি গ্রামের প্রমথ বালার ছেলে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার সাতপাড়ে তিনদিনের শীতলা পূজার শেষ দিনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত মেলার ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখে শংকর বালা ও তার ছেলে রুদ্র বালা মোটরসাইকেল করে নিজবাড়ি ভেন্নাবাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় ভেন্নাবাড়িতে সন্ধ্যায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হলে শংকর বালা ও তার ছেলে রুদ্র বালা মারাত্মক আহত হন। শংকটজনক অবস্থায় প্রথমে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে দশটার দিকে শংকর বালা পথিমধ্যে মারা যান এবং তার ছেলে রুদ্র বালাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শংকর বালার মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে গেছে।