গোপালগঞ্জে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও বরখাস্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন
গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শারীরিক নির্যাতন, সাময়িক বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রতিবাদে এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা প্রধান শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার এবং সব সুযোগসুবিধা বহাল রাখার দাবি জানান। এ সময় অভিযুক্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুসহ শাস্তির দাবি জানিয়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষক নেতারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন নেতারা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আসমা খানম।
গত ৩ অক্টোবর স্কুল পরিদর্শনকালে ২৮ নম্বর উরফি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র রায়। তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করেও ক্ষান্ত হননি, করা হয় সাময়িক বরখাস্ত, দেওয়া হয় বিভাগীয় মামলা। এ সময় শারীরিক লাঞ্ছনার ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করেন ওই প্রধান শিক্ষক। এরপর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে গত ৫ অক্টোবর স্কুল চলাকালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মাহিদুল আলম মাহাতাব খান ও তাঁর লোকজন তাঁকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিওচিত্র মুছে ফেলে।