ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নদীর চরে নিয়ে গণধর্ষণ, ৪ যুবক আটক
মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এক নারী যাত্রীকে দ্রুত শিমুলীয়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে স্পিডবোটে নিয়ে পদ্মার চরের মধ্যে নামিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে স্পিডবোটচালকসহ চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন কাঁঠালবাড়ী এলাকার ফকিরকান্দি গ্রামের মাসুদ মোল্লা, মাহবুব মৃধা এবং নুর মোহাম্মদ হাওলাদার।
পুলিশ ও ভিকটিম জানায়, যশোর জেলার বাসিন্দা ওই মেয়ের সঙ্গে গত এক সপ্তাহ আগে চাঁদপুরের রাসেল মিয়া নামের এক ছেলের বিয়ে হয়। মেয়েটির স্বামী ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় পদ্মাসেতুর প্রজেক্টে শ্রমিকের কাজ করেন। গত তিন দিন আগে মেয়েটি জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিক ওই মেয়েটি তাঁর স্বামীর কাছে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার জন্য কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেয়েটিকে এগিয়ে নিতে তাঁর স্বামীও শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন। মেয়েটি কাঁঠালবাড়ি ঘাটে একটি ফেরিতে ওঠার পর চালকসহ চার যুবক মেয়েটিকে দ্রুত শিমুলিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে স্পিডবোটে উঠায়। স্পিডবোটটি কিছু দূর যাওয়ার পর কাঁঠালবাড়ির বুড়ার খেয়াঘাটে পৌঁছালে থেমে যায়। চালক তেল আনার কথা বলে চলে যান। এ সময় মাসুদ, মাহবুব, নুর মোহাম্মদ মেয়েটিকে চরে নামিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্পিডবোটচালক তেল নিয়ে এলে ওই তিন যুবক পালিয়ে যান। মেয়েটি ঘটনার বিস্তারিত জানালে চালক তাঁকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। গভীর রাতে মেয়েটির স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে শিমুলিয়াঘাট থেকে পার হয়ে কাঁঠালবাড়ি আসেন। গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ধর্ষিতার আত্মীয় স্বজন এ ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি এলাকায় আপোস রফার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
দুপুরে খবর পেয়ে শিবচর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বিষ্ণুপদ হীরা সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক স্পিডবোট চালক ফারুক মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে অভিযুক্ত তিন যুবকতে আটক করে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটি আসামিদের শনাক্ত করেছেন। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।