ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ : বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা কম

Looks like you've blocked notifications!

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ ক্রমশ বাংলাদেশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূলে এর আঘাত হানার আশঙ্কা কম।

আজ শনিবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তাদের দ্বিতীয় বুলেটিন প্রচার করে। এতে দেশের সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।    

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের প্রথম বুলেটিনে এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখানোর জন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল।

রাতে আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শনিবার রাত ৯টায় উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১৮.৪ ডিগ্রি অক্ষাংশ এবং ৮৮.৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এ পরিণত হয়েছে।’

এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও আবহাওয়ার অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে।  

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার কারণে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।  

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তীকে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।