চট্টগ্রামে পুলিশের ৮ সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি এবং ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আট সদস্যসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মো. আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যবসায়ী।
আদালত মামলা গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উত্তর জোনের উপকমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন— নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নূর নবী ও গোলাম মোহাম্মদ নাছিম হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অমিত ভট্টাচার্য, মো. শরিফুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও ফৌজুল করিম এবং পুলিশের সোর্স রুবেল।
মামলার বাদী আবদুল ওয়াহেদ নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আরেফিন নগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়রানি করায় দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৩৯৫, ১৬১, ২৯৮, ৪২০, ১০৯, ৫০৬ (২) ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে নগর পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’ নগর পুলিশ আগামী ১ অক্টোবর এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিবেন বলে তিনি জানান।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৩ জুলাই বায়েজিদ বোস্তামীর জামাল কলোনি এলাকা থেকে বিনা কারণে বাদীকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় এবং দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মাদক আইনে বাদী ও আরো কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। মামলা হালকা করতেও টাকা দাবি করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।
বাদী আরো বলেন, তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। টাকা দিতে না পারলে তাঁর বাসা থেকে ইয়াবা উদ্ধারের মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগ কী, সেটা এখনো জানতে পারিনি।’