চট্টগ্রামে সড়কে গাছের গুঁড়ি দিয়ে ব্যারিকেড, ভোগান্তি
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে।
এরপর থেকে এসব উপজেলার গ্রামেগঞ্জে স্থানীয় যুবকরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। এর ফলে বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া জনসাধারণ এবং জরুরি প্রয়োজনে চলাচলরত যানবাহন চলতে না পারায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। অনেক এলাকায় এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে একাধিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাইকিং করে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাতকানিয়ার ওইসব এলাকায় স্থানীয় কিছু লোকজন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাতায়াতকারী মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্যারিকেড সৃষ্টিকারীদের একজন সন্তোষ দাশ বলছেন, ‘বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাই নিজেদের রক্ষার স্বার্থে আমরা আমাদের পাড়া লকডাউন করে দিয়েছি। ফলে বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারছে না। আর এখানকার বাসিন্দারাও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে যেতে পারছেন না।’
এদিকে জনগণের ভোগান্তির কথা জানার পর বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আছিয়া খাতুন এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয়ভাবে দেওয়া ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে এ ধরনের ব্যারিকেড তুলে নিতে বলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কের মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার কারণে ওইসব সড়ক দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি যাতায়াত করতে পারছে না। এই সুযোগে গ্রামের দোকানদাররা বিশেষ করে চায়ের দোকানগুলো খোলা রেখে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করোনা রোধে সরকারি পদক্ষেপ মানা হচ্ছে না অনেক জায়গায়। এ ছাড়া এভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।