চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আবু সুফিয়ান
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আবু সুফিয়ান। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক। এই আসন থেকে এর আগেও ‘ধানের শীষে’র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন আবু সুফিয়ান।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এই নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি। চট্টগ্রাম-৮ আসনে তিন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তারা সবাই দক্ষিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পার্লামেন্টারি পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০১৮ সালে নির্বাচনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবু সুফিয়ান তাকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, এই নির্বাচন অন্তুত যদি তারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারে তাহলে জনগনের কিছুটা আস্থা নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ফিরে আসতে পারে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজনের সাক্ষাতকার নেন মনোনয়ন বোর্ড। পার্লামেন্টারি কমিটিতে ছিলেন বিএনপির মহাসচিবসহ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকারর, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এ ব্যাপারে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘এ সরকারে আমলে নির্বাচন নিয়ে আমরা আশাবাদী না। দলীয় আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। দল আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আশা করছি জনগণ আমার পাশে থেকে, দলের পাশে থেকে ১৩ই জানুয়ারি ধানের শীষের পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী মইনউদ্দীন খান বাদলের কাছে তিনি পরাজিত হন। মইনউদ্দীন খান বাদল পেয়েছিলেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ধানের শীষের আবু সুফিয়ান পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ১৩৫ ভোট।
গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনের তিনবারের সাংসদ মঈন উদ্দিন বাদলের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য হয়। গত ১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১২ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ ডিসেম্বর ও ২২ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।