চলচ্চিত্র কল্যাণ ট্রাস্ট আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

দেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের সার্বিক কল্যাণ ও পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে  মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চলচ্চিত্র  শিল্পের স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে ছয়জন মন্ত্রী এ ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট গড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয় সব আনু্ষ্ঠানিকতা শেষ করে এ আইনের খসড়া উপস্থাপন করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি। এ ছাড়া অসমর্থ ও অসচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া, অসচ্ছল ও অসুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া এবং কোনো চলচ্চিত্র শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া।

ট্রাস্টের জন্য একটি বোর্ড থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন তথ্যমন্ত্রী। আর ১৩ জনের বড় একটি টিম আছে, তারা ট্রাস্টের সবকিছু দেখাশোনা করবেন। ট্রাস্টের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকবেন, তিনি হবেন নির্বাহী প্রধান। তাঁরা তাঁদের নিজস্ব ফান্ড ও সরকারের দেওয়া ফান্ড নিয়ে ট্রাস্ট পরিচালনা করবেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ বা গ্র্যান্টও নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হবে, যাতে এমন কোনো ঋণ নেওয়া না হয়, যা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের ওপর চেপে বসে।

শিল্পীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী আয়বর্ধক বিভিন্ন কার্যক্রমও চালাতে পারবেন এবং এখান থেকে যে টাকাটা তাদের মুনাফা থাকবে, সেটা দিয়ে ওপরের পাঁচটি ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র শিল্পীদের সহায়তা করতে পরবেন,যোগ করেন সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, কোনো চলচ্চিত্র শিল্পী যদি মারা যান, তাঁদের ওপর নির্ভরশীলরাও যাতে সহায়তা পান, সে ব্যবস্থাও আইনে রাখা হয়েছে। দেশীয় চলচ্চিত্রকে শিল্পে পরিণত করতে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদে উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন। আর বর্তমান সরকারের সময়ে চলচ্চিত্র পায় শিল্পের স্বীকৃতি।