চাঁদপুরের নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য, আটক ৩
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে বেড়েছে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। জেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন নৌযান থেকে প্রতিদিন তোলা হচ্ছে লক্ষাধিক টাকার চাঁদা। এমন সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালায় পুলিশ। আজ শনিবার সে অভিযানে আটক হন তিন জন।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সুমন খান (৩৫), ইয়াসিন মাঝি (৩২) ও দেলোয়ার পাটওয়ারী (৩৫)। তারা সবাই সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নৌযান শ্রমিকেরা জানান, নদীতে যাত্রাবিরতি কিংবা আসা-যাওয়ার সময় স্পিড বোট ও ট্রলার দিয়ে মাঝনদীতে তাঁদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করা হয়। টাকা না দিতে চাইলে মারধর করে চাঁদাবাজেরা। এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান থেকে ২০০ থেকে থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকে বলে দাবি করেন নৌযান শ্রমিকেরা।
চাঁদপুর নৌপুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে একটি গ্রুপ নদীতে নৌযান থেকে চাঁদাবাজি করছে। ঈদ ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় নৌযান থেকে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি রুখতে চাঁদপুর নৌথানা পুলিশ নদীতে শনিবার অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তিন জনকে চাঁদা তোলার সময় আটক করা হয়েছে।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, নদীতে কোনোভাবেই অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করা যাবে। নদীতে নৌপুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।