চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগনেতাকে ছাড়িয়ে নিতে বরিশালে থানা ঘেরাও করেছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ওই কর্মীকে ছাড়া না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছে তারা।

আজ সোমবার দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা ঘেরাও এবং বিক্ষোভ করে।

জানা গেছে, কাশিপুরে ব্যাটারিচালিত হলুদ অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজির ঘটনার প্রতিবাদ করায় ২৯ মার্চ ২৮ নম্বর ওয়ার্ড সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহসভাপতি গোলাম রসুলসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর ৩০ মার্চ এয়ারপোর্ট থানায় গোলাম রসুল বাদী হয়ে সেখানকার আওয়ামী লীগকর্মী রিপন মাঝিসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং ১০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় উল্লেখ করে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। সেই মামলায় আজ রোববার রিপন মাঝিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জেলহাজতে পাঠায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুর নেতৃত্বে দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এয়ারপোর্ট থানা ঘেরাও করে। পরে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ শেষে রিপন মাঝিকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় নেতাকর্মীরা।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম, সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পরে নেতাকর্মীরা নগরীর সোহেল চত্বরের জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং রিপনকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, ‘শান্তিপ্রিয় বরিশালে কিছু চাঁদাবাজ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের আসামিদের মামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুজিবপ্রেমী আমাদের ওই ভাইকে মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করায় কিছু লোকজন থানার সামনে জড়ো হয়েছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতের মধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’