চাঁদাবাজির মামলায় জেএসএসের ৮ শীর্ষ নেতা কারাগারে
বান্দরবানে চাঁদাবাজির মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) আট শীর্ষ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের একজন একটি এবং শহরের উজানীপাড়ার এক ব্যক্তি দুটি চাঁদাবাজির মামলা করেন জনসংহতি সমিতির ওই নেতাদের বিরুদ্ধে।
তাঁরা জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহারের আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন নামঞ্জুর করে অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ সন্ধ্যায় আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠায়।
এদিকে প্রথম ব্যক্তির করা মামলার আসামি হলেন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন ও দলের কর্মী চাইহ্লা মারমা।
অপরদিকে দ্বিতীয় ব্যক্তির করা পৃথক দুই মামলার আসামিরা হলেন জেএসএস কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক জলিমং মারমা, জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা, জেলা সদস্য শম্ভুনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সদর উপজেলা ভূমিবিষয়ক সম্পাদক মংপু মারমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলা নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা সদস্য অংথোয়াইচিং মারমা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা বলেন, ‘চাঁদাবাজির দুই মামলায় পুলিশের অভিযোগপত্র দেওয়া পর্যন্ত আসামিরা অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।’
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী তাদের জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।