চাঁদা না দেওয়ায় জাল টাকায় ফাঁসালো ডিবি, দুই আসামি খালাস

Looks like you've blocked notifications!
আদালতে খালাস পাওয়া হাসান মজুমদার ও সোহেল রানা। ছবি : এনটিভি

চাঁদা না দেওয়ায় ডিবি পুলিশ কর্তৃক জাল টাকার ফাঁসানো মামলায় রাজধানীর পল্টনে ‘হোটেল বন্ধু’র ম্যানেজার হাসান মজুমদার ও ওই হোটেলের বাবুর্চি সোহেল রানাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। 

ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫ এর বিচারক তেহ্সিন ইফতেখার আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাদের খালাসের আদেশ দেন।

এদিকে রায় ঘোষণার সময় হাসান ও সোহেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানান তারা। তারা বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। তবে রায়ে নাখোশ রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। 

রায়ের পর খালাস পাওয়া হাসান মজুমদার আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ হোটেলে এসে দাবি করেছিল কিছু নগদ টাকা। সেজন্য অনেক চাপাচাপি করে। ডিবির সেই লোকগুলো হাসানের সঙ্গে খুব পীড়াপীড়ি করল। এক পর্যায়ে হোটেলের কাউন্টার থেকে হাত করা পড়িয়ে চোখ মুখ বেঁধে নিয়ে যায়। পরে জাল টাকার ব্যবসায়ী বানিয়ে মামলার আসামি করে রিমান্ডে নিয়ে যায়।

মামলার এজাহারের অভিযোগে বলা হয়, মতিঝিল জোনাল টিম ডিবি (পূর্ব) এর পুলিশ পরিদর্শক তপন কুমার ঢালী সংগীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুলস্থ পশ্চিম পাশের গলিতে বিকেল সাড়ে ৪টায় পৌঁছালে পালানোর চেষ্টাকালে হাসান মজুমদার ও সোহেল রানাকে আটক করেন। তাদের দেহ তল্লাশিকালে হাতে থাকা ব্যাগে ২৫ লাখ টাকার জাল টাকা পায়। ওই ঘটনায় ওইদিনই তিনি মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামিদের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলাটি তদন্তের পর মতিঝিল জোনাল টিম ডিবি (পূর্ব) এর পুলিশের এসআই দেওয়ান উজ্জ্বল হোসেন ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় আসামিরা ৫ মাস জেলহাজতে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়।