চাচির সঙ্গে পরকীয়া করায় ভাতিজাকে খুন করে গুম
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ শাকতলী গ্রাম থেকে জিয়াউর রহমান (৩০) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের চাচি মোর্শেদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। মোর্শেদা বেগমের স্বামী বাছির পলাতক রয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জিয়াউর রহমান গ্রামের হুমায়ন কবিরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার জিয়াউর রহমান নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শুক্রবার নিহতের বাবা হুমায়ন কবির থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। চাচিকে সন্দেহ হলে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর স্বীকারোক্তিতে অবশেষে শনিবার রাতে পাশে তাঁদের বাড়ির পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে জিয়াউর রহমানের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মোর্শেদা বেগম জানান, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে জিয়াউর রহমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তাঁরা।
নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক ওবায়দুল হক বলেন, ২০০৬ সাল থেকে চাচি মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। চাচা প্রবাস থেকে দেশে আসার পরও তিনি অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যান। বিষয় জানার পর ক্ষুব্ধ হন বাছির। এরপর স্ত্রী মোর্শেদাকে নিয়ে জিয়াউরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন বাছির।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিডির সূত্রে চাচিকে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোর্শেদা বেগম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।