চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি

Looks like you've blocked notifications!
কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে বিভিন্ন সীমান্তে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি। ফাইল ছবি

কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে বিভিন্ন সীমান্তে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।

বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে পশুর চামড়ার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় এবারের কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে জয়পুরহাট সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বিজিবি।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নে নিয়ন্ত্রণাধীন  ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ জয়পুরহাট-হিলি সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও অরক্ষিত পয়েন্টসহ সীমান্তজুড়ে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সর্তকতা। এ ছাড়া অতিরিক্ত ফোর্স (বিজিবি সদস্য) মোতায়েন করা হয়েছে।

২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশে সীমান্তের চোরাই পথ দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

জয়পুরহাটের ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্তের সর্বত্র অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, এ সীমান্তের কোরবানির পশুর চামড়া জমায়েত হওয়ার স্থানগুলোতে সাদা পোশাকে নিজস্ব গোয়েন্দা সদস্যদের অবস্থান করে ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে গোপনে দিনে কিংবা রাতে কোনোভাবে কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার না হতে পারে।

হিলিতেও সতর্ক পাহারায় বিজিবি

দিনাজপুর প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম জানান, কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম জানান, এবার সীমান্ত দিয়ে দেশে একটি গরুও আসতে দেওয়া হয়নি। বিজিবির কঠোর ভূমিকার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আর এই সফল্য ধরেই কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে যেন কোনভাবেই পাচার না হয়, আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

রফিকুল ইসলাম আরও জানান, ‘এই ব্যাটালিয়নের অধীন ১০২টি পোস্ট ও ক্যাম্পে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’