চার লাখ টাকার স্কুল ভবন ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি
ঝালকাঠিতে চার লাখ টাকার সিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবন ৩৫ হাজার টাকায় নিলাম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘নিলামে বাইরের কাউকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। শুধু পরিচিতরাই নিলামে অংশ নেয়। পরে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহীমকে স্কুলের পুরনো ভবনটি পাইয়ে দেওয়া হয়।’ গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহারের কক্ষে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামে অংশ নিতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন বলে জানান এজিএম মিজানুর রহমান নামে এক ঠিকাদার। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঝালকাঠি সদর উপজেলার সিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি নিলামের জন্য মঙ্গলবার সময় নির্ধারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নিলামে অংশ নেন সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহীম। তাঁকে সহযোগিতা করতে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আগে থেকেই অবস্থান নেন। নিলামে অংশ নিতে গেলে আমাকে কক্ষে প্রবেশ করতে দেননি ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন। পছন্দের লোকজন নিয়ে নিলামে অংশ নিয়ে চার লাখ টাকার স্কুল ভবনটি মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন ইউপি চেয়ারম্যান।’
ঠিকাদার মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি অন্তত দুই লাখ টাকা বলতম। এটা বুঝতে পেরে আমাকে নিলাম কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এতে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে আমি মনে করি। নিমালটি বাতিল করার জন্য আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহীম বলেন, ‘সঠিক প্রক্রিয়ায় নিলামে অংশ নিয়ে স্কুলের পুরনো ভবনটি পেয়েছি। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমি কাউকে নিলামে অংশ নিতে বাধা দেইনি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার বলেন, ‘নিলামে কোনো অনিয়ম হয়নি। সর্বোচ্চ মূল্য যেটা পেয়েছি, তাতেই স্কুলের ভবন বিক্রি হয়েছে। তিনজন ঠিকাদার এই নিলামে অংশ নেয়। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’