চালচুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন রিমান্ডে
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ভিজিএফের ২০৬ বস্তা চাল আত্মসাতের মামলায় মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহের একটি আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ছাড়া এই মামলার আরেক আসামি চৌকিদার আলী আকবর আদালতে স্বীকারোক্তি মোতাবেক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত চৌকিদার ও আরেক আসামি ডিলার নুরুল ইসলাম নুরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি চুরি যাওয়া চালের খবর জানি না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী তাঁর নামে বরাদ্দকৃত চাল স্থানীয় গুদাম থেকে উত্তোলন করেন। হতদরিদ্র প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু চাল কম দেওয়া হয়। এ নিয়ে গতকাল বুধবার গোলযোগ দেখা দেয়। একপর্যায়ে চালও কম পড়ে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ কামাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমেন শর্মা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তারা ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পান। সেইসঙ্গে ২০৬ বস্তা চালের হিসাব না পাওয়ায় চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী, চৌকিদার আলী আকবরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডিলার নুরুল ইসলাম নুরুকেও আটক করে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ‘প্রকল্প কর্মকর্তা বাদী হয়ে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে চাল কালোবাজারে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। চুরি যাওয়া চাল উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।’
ইউএনও মাসুদ কামাল বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদে সরকারি ২০৬ বস্তা চাল আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’