‘চালচোর, ত্রাণচোর’ চেয়ারম্যান-মেম্বারের সংখ্যা বাড়ছেই
ত্রাণ ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে আরো এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মোট ৫৫ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৩৩ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং একজন পৌরসভার কাউন্সিলর।
আজ সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত ব্যক্তিরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া, রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আকবর আলী এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কামাল হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ত্রাণ ও ভিজিডির চাল আত্মসাৎ, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ এবং মৎস্য ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন।
তাদের এই অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
একইসময় সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে হবে।