চাহিদার তুলনায় সক্ষমতা কম বলে ঈদে টিকেটে ভোগান্তি : রেলমন্ত্রী
ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাহিদার তুলনায় টিকেটের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন টিকেটপ্রত্যাশীরা। এমন দাবি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের। তিনি বলেছেন, ‘চাহিদার তুলনায় রেলওয়ের যে সক্ষমতা এবং এটার যে ফারাক; সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত কমাতে না পারব, ততদিন এ পরিস্থিতি থেকে আমাদের যাত্রীরা নিস্তার পাবেন না।’
আজ শনিবার কমলাপুর কমলাপুর রেলস্টেশনে ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া ৫০টি ট্রলিগ্রহণ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতি ঈদের সময় রেল টিকেটের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশে এখন আর কাউন্টারে গিয়ে টিকেট কাটার সিস্টেম নেই। এখন সবকিছু হচ্ছে অনলাইনে। আমরাও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। চেষ্টা করছি, যাতে মানুষ বাসায় বসে টিকরট পেতে পারেন।’
নূরুল ইসলাম বলেন, “রোজার ঈদের আগে ‘সহজ’ অনলাইনের টিকেট বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছে। তারা এ ব্যাপারে দিনরাত কাজ করছে। তারপরও টিকেটের কিছু অব্যবস্থাপনা যে হচ্ছে না, তা নয়। কীভাবে সেসব অব্যবস্থাপনা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেসব নিয়ে আমরাও কাজ করছি।”
ডিজিটাল ব্যবস্থায়ও ডিজিটাল প্রতারণা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে—এমন প্রশ্ন করা হলে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটালি যারা প্রতারণা করে, তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা যাতে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে টিকেট জালিয়াতি না করতে পারে, তার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের অনলাইনে টিকেট বিক্রিতে যদি কোনরূপ ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়, সেটা যেন আমরা সংশোধন করতে পারি, সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। গত ঈদের মতো এবারও যে ত্রুটিগুলো ধরা পড়বে, সেগুলো যেন আগামী বছর না হয়. সে ব্যবস্থা করব।’
যাত্রীদের মালামাল বহনের সুবিধার্থে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক রেলওয়েকে দেওয়া ৫০টি মালামাল টানার অত্যাধুনিক ট্রলিগ্রহণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীদের সুবিধার্থে ইসলামী ব্যাংকের এ উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, যাত্রীরা এতে নির্বিঘ্নে মালামাল বহন করতে পারবেন।’
এরপর মন্ত্রী কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখেন এবং ট্রেনের আগাম টিকেট নিতে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।