চা রপ্তানিতে কাজ করা হচ্ছে : চা বোর্ডের চেয়ারম্যান
চা রপ্তানিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশেই চায়ের বিশাল বাজার রয়েছে। ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা-বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা-বাগানে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬ দশমিক ৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর ৯৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যার পুরোটাই দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় চা চাষী ও ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদান ও প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ সব কথা বলেন।
মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২০২৫ সালে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘লালমনিরহাটে বেশ কিছু চায়ের বাগান হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এসব বাগান থেকে চা সঠিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করতে চা বোর্ড সবসময় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই অঞ্চলে চা চাষ দিন দিন বাড়ছে। তাই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি চায়ের বাজারজাতকরণের সকল সমস্যা সমাধানে যা পদক্ষেপ নিতে হবে তা করব। এখানে চা প্রক্রিয়াজাত ফ্যাক্টরি তৈরি করা হবে।’
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চা অফিস করতে ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’
এসময় চা চাষী ও ব্যবসায়ীরা জেলায় চা চাষের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন ও বিভিন্ন পরামর্শ দেন। সার্বিক বিষয়ে চা বোর্ড থেকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানানো হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার, আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুক, লালমনিরহাট ক্ষুদ্র চা আবাদ প্রকল্পের পরিচালক আরিফ খান, আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক প্রমুখ।