চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে খাবার মজুদ না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি জানান, দেশে পর্যাপ্ত খাবারের মজুদ রয়েছে। আর বিদেশফেরতদের অন্তত ১৪ দিন নিজের পরিবার ও দেশের স্বার্থে কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া চিকিৎসকরা যাতে নির্বিঘ্নে সেবা দিতে পারেন, সে জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব জানান। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হওয়ায় ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বেশ কিছু পরামর্শ এবং করণীয় তুলে ধরেন। বিশেষ করে যাঁরা বিদেশ থেকে দেশে আসছেন, তাঁদের সবার স্বার্থে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন। সেইসঙ্গে সবাইকে করোনা সম্পর্কে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় থাকারও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াবেন না। কারণ, আপনি তো নিজে সংক্রমিত হতে পারেন, আবার আপনার পরিবারে ছড়াবেন, আরো দশজনের মাঝে ছড়াবেন, এভাবে অন্যদের বিপদগ্রস্ত করা মোটেই সমীচীন নয়। নিজেরা এ ব্যাপারে সচেতন থাকবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘চিকিৎসকরা যাতে নির্বিঘ্নে সেবা দিতে পারেন, সে জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া দেশের মানুষের স্বার্থে লোকসমাগম কমানোর নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি বাতিলেরও পরিকল্পনা রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অহেতুক ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অতিরিক্ত জিনিস কিনে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করাটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এর থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এটা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। আবার অর্থের দিক দিয়েও আমাদের যতটুকু রিজার্ভ আছে, আগামী এক বছরের খাবার কেনার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে। সেদিক থেকেও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া আমাদের তো মাটি আছে, মানুষ আছে, আমরা ফসল ফলাব।’
আর কেউ প্রয়োজনের বেশি খাবার সংগ্রহ করছে কিনা, তা নজরদারিতে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।