চিনিকলের বর্জ্যে তুলসীগঙ্গার পানি দূষণ হচ্ছে না- দাবি এমডির

Looks like you've blocked notifications!
জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন আকন্দ। ছবি : এনটিভি

সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলনে জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন আকন্দ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ‘জয়পুরহাট চিনিকলের তরল বর্জ্যে স্থানীয় তুলসীগঙ্গা নদীর পানি দূষণ হচ্ছে না। কারণ, চিনিকলের রাসায়নিক বর্জ্য মিশ্রিত পানি মিলের নিজস্ব ক্যানেলেই জমা রাখা হয়। কেবল বর্জ্যবিহীন ফুয়ারার পরিষ্কার পানি ড্রেন দিয়ে বাইরে নির্গত হয়। যা প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার দূরবর্তী তুলসীগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ে।

এমডি আরো বলেন, ‘এই দীর্ঘ পথে বাহিত এ পানির সঙ্গে জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন এলাকার নোংরা ড্রেনের পানি, বিসিক শিল্প নগরীর বিভিন্ন কল-কারখানা, পোলট্রি হ্যাচারি ও অসংখ্য হাঁস-মুরগির খামারের রাসায়নিক বর্জ্য, মরা মুরগি, পচা ডিম ইত্যাদি মিশে এ পানি বিষাক্ত ও বিবর্ণ হচ্ছে। তাই সুগার মিলের তরল বর্জ্যে তুলসীগঙ্গা নদীর পানি দূষণ ঘটছে না।’

আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন জয়পুরহাট চিনিকলের অর্থ বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক রাব্বিক হাসান, কৃষি বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক আব্দুস ছালাম ফকির, প্রশাসনিক মহাব্যবস্থাপক খুরশিদ জাহান মাফরুহা, এনটিভির স্থানীয় প্রতিনিধি শাহজাহান সিরাজ মিঠু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এ সংবাদ সম্মেলনের আগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ২৫ জন সংবাদকর্মীসহ জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তুলসীগঙ্গা নদীর বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করেন।