চিরনিদ্রায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন
তিন দফা জানাজা শেষে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেনকে মুক্তাগাছা উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে আজ বাদ জোহর ময়মনসিংহ শহরে নিজ বাসভবনের সামনে এ কে এম মোশাররফ হোসেনের প্রথম জানাজা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা শফিকুল ইসলাম।
জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। বাসার সামনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শহরের প্রধান সড়কে জানাজায় দাঁড়ান হাজারো মানুষ। জানাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, সাবেক সাংসদ আবুল বাশার আকন্দ, শাহ শহীদ সারোয়ার, শাহ নুরুল কবীর শাহিন, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, মরহুমের ছোট ভাই ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, মরহুমের ছেলে রানা, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল নেতাসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এই জানাজা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে ঈদগাহ মাঠে জানাজায় বাধা দেয় পুলিশ। তাঁর বাসভবনের সামনে মোতায়েন করা হয় বিপুল পুলিশ। পরে বাসভবনের সামনে জানাজা হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জানাজা শেষে লাশ মুক্তাগাছা উপজেলায় নেওয়া হয়। মুক্তাগাছার পথে পথে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে জানাজায় যেতে চাওয়া মানুষকে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু মানুষের ঢল আটকাতে পারেনি পুলিশ।
বাদ আসর মুক্তাগাছা উপজেলা সদরের খেলার মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর লাশ গ্রামের বাড়ি কান্দিগাঁওয়ে নেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর সেখানে তৃতীয় জানাজা হয়। শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন ছোট ভাই বিএনপির নেতা জাকির হোসেন বাবলু।