চীন থেকে আপাতত সব ধরনের ফল আমদানি বন্ধ : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

করনোভাইরাসের কারণে চীন থেকে আপাতত সব ধরনের ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ফল রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে রমজান মাস। এ সময় আমাদের প্রচুর ফলের প্রয়োজন হয়। চীন থেকেও অনেক ফল আমদানি করা হয়। এখন চীন ব্যতীত অন্য সব দেশ হতে ফল আমদানি করা হবে।’

আবদুর রাজ্জাক বলেন, রমজান মাসে ফলের কোনো সমস্যা হবে না। এই মুহূর্তে চীন থেকে ফল আমদানির জন্য আমদানিকারকদের নিরুৎসাহিত করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাড়ির আঙিনায় উৎপাদিত ফসল এখন মাঠে উৎপন্ন হচ্ছে। তেমনি রাজশাহীর উন্নত জাতের আম এখন প্রায় সব জেলাতে উৎপন্ন হচ্ছে। দেশে এখন অর্থকরী অপ্রচলিত বিদেশি ফসল ও ফল উৎপন্ন হচ্ছে। বিদেশি ড্রাগন ফল উৎপাদন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে আর কয়েক বছর পরে চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিতে যেতে হবে। যেসব ফল ও ফসল আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় সেগুলো আমদানি কমানো এবং রপ্তানির পথ বের করতে হবে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষের ফল খাওয়ার প্রবণতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল দেশের মোট চাহিদার মাত্র ৩৫ ভাগ পূরণ করে, যা দুই বছর আগেও  ছিল ২৮ ভাগ। বাকিটা আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। এজন্য আমদানিকৃত ফলের চাহিদা বেশি। দেশে সারা বছর বিদেশি ফলের চাহিদা রয়েছে।