চীন থেকে আসা অবৈধ করোনা কিট জব্দ, পাঁচজনকে কারাদণ্ড
রাজধানীর শাহাজানপুরের শহীদবাগ ও নিকুঞ্জ-১ এলাকা থেকে মোট এক হাজার ২০০ অনুমোদনহীন করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৩) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পাঁচজনকে আটক করে প্রত্যেককে এক বছর নয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর থেকে চলা এই অভিযানের নেতৃত্বে থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু। তিনিই এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
পলাশ বসু বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে, চীন থেকে ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অনুমোদনহীন অবৈধ করোনা কিট আনা হচ্ছে দেশে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর থেকে আমরা রাজধানীর শাহাজানপুরের শহীদবাগে অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে ৩০০ কিটসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘শহীদবাগ থেকে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে এক বছর নয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানার পাশাপাশি অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অভিযানের মধ্যে দিয়ে আমরা জানতে পারি যে, রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ এর ২০ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে আরো অবৈধ কিট মজুত রাখা আছে।’
এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় দেখা যায়, সেখানে আরো ৯০০ কিট মজুত রাখা হয়েছে। শুধু কিট নয়, সেখানে অনুমোদনহীন পিপিই, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার পাওয়া গেছে। নিকুঞ্জে অভিযান শেষে আরো দুজনকে এক বছর নয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে জরিমানার পাশাপাশি অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসব কিট তো সরকারের অনুমোদন ছাড়া ব্যবহার হওয়ারও কথা না। তাহলে তাদের ক্রেতা কারা- এমন প্রশ্নের জবাবে পলাশ বসু বলেন, ‘এই কিটগুলো তারা ফেসবুকের মাধ্যমে ক্রেতা ঠিক করে তাদের কাছে বিক্রি করে। যার কাছ থেকে যেমন দামে বিক্রি করতে পারে সেখানে সেভাবে বিক্রি করে। এই ব্যাপারে র্যাবের আরো তিনটি ইউনিট কাজ করছে। আরো অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সে রকম তথ্য আমাদের কাছে এলে আমরা পুনরায় অভিযান পরিচানা করব।’