চুক্তি নবায়ন : বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেবে বারডেম
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।
এ সমঝোতা স্মারক আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর আগে ২০১৮ সালে তিন বছরের জন্য এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এ হাসপাতাল থেকে পাবেন। এর মধ্যে ওষুধ, বেড, পথ্য এবং নার্সিং সেবাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস এবং বারডেম হাসপাতালের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
আজ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং বারডেম হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের নীতিমালায় সংশোধনী এনে সরকারি হাট-বাজারের ইজারালব্ধ আয়ের চার শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালা-২০২১ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালসহ, মেডিকেল কলেজ ও ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে। বারডেম জেনারেল হাসপাতাল এদের মধ্যে অন্যতম।
এ ছাড়া জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে নির্ধারিত এসব হাসপাতালের বাইরে দেশে-বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে সরকার অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অনুদান দেবে। তবে চিকিৎসা অনুদান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবনে একবারের বেশি পাবেন না। আর অনুদান একটি বাছাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় মঞ্জুরি দেবে।
যে ২২ বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা হবে তার মধ্যে রয়েছে- ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সিলেট, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-বরিশাল, জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন-ঢাকা এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতাল-ঢাকা।