চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকের চাপায় পুলিশের এসআই নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিল্টন সরকার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানপাশা গ্রামের সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে। তিনি দামুড়হুদা মডেল থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী তৃষা সরকার ও দেড় বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে সেঁজুতি সরকার দামুড়হুদায় তাঁর সঙ্গে থাকতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাতে নিয়মিত টহল ডিউটি পালনের জন্য মোটরসাইকেলে করে দর্শনার দিকে যাচ্ছিলেন এসআই মিল্টন সরকার। এ সময় ওদুদ শাহ কলেজের কাছে পৌঁছালে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিল্টন সরকার।
মিল্টনের মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা আরোহী কনস্টেবল দীপক জানান, থানা থেকে বের হয়ে উপজেলা শহরের ওদুদ শাহ কলেজের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন মিল্টন সরকার। দ্রুতগামী ট্রাকটি পালানোর চেষ্টা করলে সামনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিল্টন সরকার।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল খালেক জানান, রোববার রাতে নিয়মিত টহল ডিউটির জন্য নিজ মোটরসাইকেলে থানা থেকে বের হন মিল্টন সরকার ও কনস্টেবল দীপক। কিছুক্ষণ পরে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা পৌঁছান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁকে আর জীবিত পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে ট্রাক ও ট্রাকচালক পলাতক।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশে উপপরিদর্শক পদে যোগ দেন মিল্টন সরকার। তাঁর বাবাও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য। তাঁর বিপি নম্বর ৮৬১৩১৫১৪১৫। ট্রাকচালককে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।