চুয়াডাঙ্গায় বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষিরা ধানবীজ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/06/03/chuadanga-badc.jpg)
চুয়াডাঙ্গায় চুক্তিবদ্ধ চাষিরা বিএডিসির কাছে বোরো ধানবীজ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিকেজি ধানবীজের মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বীজ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও বীজভবনসহ চারটি প্রতিষ্ঠানে অনেকটাই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে গত ২ মে থেকে ধানবীজ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় এবং চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এই সময়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান মোট নয় হাজার ২৮০ মেট্রিক টন ধানবীজ কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠান ধানবীজ কিনেছে মোট চার হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন। এখনো বাকি রয়েছে চার হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন ধানবীজ কেনা।
যে তিনটি প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ চাষিদের কাছ থেকে ধানবীজ কিনছে এরা হলো ধান গম ও ভূট্টা বীজ উৎপাদন কেন্দ্র, কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স ও আপদকালীন সংগ্রহ কেন্দ্র। চুক্তিবদ্ধ কৃষকরা ধানবীজ সরবরাহ বন্ধ রাখায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কৃষকরা জানায়, গত বছর বোরো ধানবীজের দাম ছিল ৩৮ ও ৩৯ টাকা কেজি। এ বছর এখনো সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ হয়নি।
তবে চাষিদের দাবি, এ বছর ক্রয়মূল্য দিতে হবে ৪৫ টাকা কেজি।
বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষি সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক লোটাস জানান, এক কেজি ধান থেকে সব প্রক্রিয়া শেষে ৭০০ গ্রাম বীজ পাওয়া যায়। এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতি কেজি বীজধান উৎপাদন করতেই ৪৫ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই ৪৫ টাকার নিচে দাম দিলে বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক ও ক্রয় কমিটির আহ্বায়ক সেলিম হায়দার জানান, চুক্তিবদ্ধ চাষিরা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানোর পর তা বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তিনি বলেন,‘চাষিদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ প্রক্রিয়া দেরি হলে বীজের মান ধরে রাখা যাবে না। এরই মধ্যে ধানবীজ ক্রয় কমিটি স্থানীয় বাজারের মূল্য পর্যালোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ৪১ টাকা দরে ধান কেনা যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছে।’