চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দাফন সম্পন্ন

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বিএনপিনেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি। ছবি : এনটিভি

ফরিদপুরের রাজনীতির মহানায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় লক্ষাধিক মানুষ চোখের জলে বিদায় দেয় তাদের প্রিয় নেতাকে।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে শহরের কমলাপুর এলাকার ময়েজ মঞ্জিল চত্বরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

জানাজার আগে তাঁর মেয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট একে আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম শাহজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুল ইসলাম পিংকু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

জানাজা শেষে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর নিউমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। ২১ নভেম্বর তাঁর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কামাল ইউসুফ ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে পাঁচ দফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি যে কয়েকবার সরকার গঠন করে প্রত্যেক বারই তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৭৯ সালে বিএনপি দল গঠনের সূচনা লগ্ন থেকে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ যুক্ত আছেন। ওই বছর দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ফরিদপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ১৯৯৬, ২০০৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কামাল ইউসুফ স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সর্বশেষ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

একটি সমৃদ্ধ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেন কামাল ইউসুফ। তিনি ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার ময়েজ মঞ্জিলের সন্তান। তাঁর দাদা ছিলেন জমিদার চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিশ্বাস। বাবা ইউসুফ আলী চৌধুরী। ইউসুফ আলী চৌধুরীকে কিং মেকার বলা হতো ফরিদপুরের রাজনীতির ইতিহাসে।