চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রংপুরের সমাবেশ সফল হবে : ডা. জাহিদ হোসেন
রংপুর সমাবেশে নেতাকর্মীরা সব ধরনের বাধা মোকাবিলা করে কর্মসূচি সফল করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিখে গেছে।
রংপুরের গণসমাবেশ সফল করতে সমন্বয় করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন। মুঠোফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাহিদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর মামলা-হামলা নতুন কিছু নয়। এটা বিএনপির সব নেতাকর্মীরা জানেন। এসব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’
রংপুরে আগামী শনিবার বিএনপির সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ বলেন, ‘সমাবেশ সফল করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করছি। জেলাগুলোতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে।’
জাহিদ আরও বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আমাদের এই গণসমাবেশ হবে। জেলার কালেক্টরেট ঈদগাহে সমাবেশের জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গণসমাবেশ সফল করা হবে।’
জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশিদ, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম সমাবেশ সফল করতে সমন্বয় করছেন।
গণসমাবেশের প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ করে বিএনপি। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে এবং ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে দলটি। আগামী শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করবে দলটি। ঢাকার সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।