ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি রাব্বানীর ওপর হামলায় দুজন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুরে নির্বাচনের দিন হামলায় আহত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ফাইল ছবি 

মাদারীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ওপর হামলার মামলায় প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলার রাজৈর ইশিবপুর ইউনিয়নের গ্যাংকান্দি শাখারপাড় এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন ইশিবপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা ও একই এলাকার জহিরুল মাতুব্বর।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে অভিযোগ মামলা হিসেবে নেওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এদিকে, হামলার মূল হোতা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে পুলিশ মামলা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদী গোলাম রাব্বানীর বাবা এম এ রশীদ আজাদ।

রশীদ আজাদ বলেন, ‘মামলা থেকে হামলার মূল হোতা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ মোল্লার নাম বাদ দিয়েছে পুলিশ। অথচ ঘটনার দিনেই আমি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি। আর একদিন পর তার নাম বাদ দিয়ে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। পরে চেয়ারম্যানের ছেলেকে প্রধান আসামি করে মামলা নেওয়া হয়। এখন বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তবে অভিযোগের ব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সাদিক বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী ব্যবস্থা সামাল দিতে ঘটনার দিন মামলায় সময় দিতে পারেননি। গতকাল সোমবার রাতে মামলা নিয়ে আসামি গ্রেপ্তার ও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় একজন এসআইকে।’

ওসি বলেন, ‘যারা প্রকৃত দোষী তাদেরই আসামি করা হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তিদের যেন হয়রানি করা না হয় সেভাবেই মামলা হয়েছে।’

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত ২৬ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ৩টার দিকে হামলার শিকার হন গোলাম রাব্বানী।

গোলাম রাব্বানী ওই দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়।’

তবে এ বিষয়ে মোশারফ মোল্লা বলেন, ‘গোলাম রাব্বানী কেন্দ্র দখল করতে এসেছিলেন। পরে তাকে প্রতিহত করেছে স্থানীয়রা।’

নির্বাচনে রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন ইশিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে পরাজিত হন।