ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাতজন

Looks like you've blocked notifications!
ঢামেক হাসপাতালে আহত ছাত্রদলকর্মী শাহাবুদ্দিন শিহাবকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের সাতজন আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর নাম শাহাবুদ্দিন শিহাব। তিনি নিজেকে ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তবে ছাত্রদল দাবি করেছে আজকের এ ঘটনায় ছাত্রদলের ৪০ জন নেতাকর্মী ছাত্রলীগের হাতে আহত হয়েছেন।

রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘এ ঘটনায় ৫ থেকে ৭ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা সবাই ছাত্রদলের কর্মী।’  

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা করে। ছাত্রদলের ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জন্য আমাদের আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলার সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এদিকে আহত শাহাবুদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথার আঘাত গুরুতর। শাহাবুদ্দিন শিহাব সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। হাইকোর্ট মোড় পার হওয়ার সময় ছাত্রলীগের ১০০ থেকে ১৫০ নেতাকর্মী অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা করেন। ছাত্রলীগের হামলায় তিনি মাথায় আঘাত পান। মাথায় আঘাত পাওয়ার পর তিনি দৌড়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের ভেতরে ঢোকেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়। দোয়েল চত্বর এলাকায় আগে থেকে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের মিছিলটি দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছুদূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রদল পিছু হটে। ছাত্রলীগ-ছাত্রদল উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোটা, হকিস্টিক ও রড দেখা যায়। তাঁদের হাতে ইটের টুকরাও দেখা যায়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীর মাথায় হেলমেট দেখা যায়।

ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ার আগে দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায়। ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রদলকে পাল্টা ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।