‘ছুটি দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাস ঠেকাতে, উৎসব করতে নয়’
উৎসব করতে নয় বরং করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণার লক্ষ্য উৎসব করা নয় বরং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।’
সরকার ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর লোকজনের দলবেঁধে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যসচিব এ কথা বলেন।
মুখ্যসচিব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘরে থাকার এবং কর্মক্ষেত্র ছেড়ে না যাওয়ার নির্দেশনা দেন।
সরকার বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উল্লেখ করে কায়কাউস বলেন, ‘আপনারা দয়া করে কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করবেন না। যারা এরইমধ্যে চলে গেছেন তাদের ঘরের বাইরে না যেতে অনুরোধ করছি।’
তবে জরুরি কাজে কেউ বাইরে গেলে তাদের হাত পরিষ্কার করার এবং সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, সব জরুরি সেবার সরকারি কার্যালয় খোলা থাকবে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মুখ্যসচিব সবাইকে পরস্পরের কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকার তাগিদ দেন।
ড. কায়কাউস বলেন, জনজীবন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি জানান, ছুটির সময়ে কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং অন্যান্য জরুরি সেবা চালু থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন চারজন।