মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় মায়ের পরকীয়ার জেরে ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তোফাজ্জেল হোসেন। আজ বুধবার দুপুরে মাদারীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

সম্প্রতি মাদারীপুরের কালকিনির গোপালপুরের তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী মিনারা একই এলাকার চা বিক্রেতা আব্দুর রশিদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে যান। দেড় মাস আগে মিনারা রশিদের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরে তোফাজ্জেলের মনের ভেতর শুরু হয় মানসিক যন্ত্রণা। লোকলজ্জার ভয়ে ছেলে ও নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তোফাজ্জেল। সেই অনুযায়ী গত ২৫ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে রনিকে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিহত রনির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেইসঙ্গে তোফাজ্জেলকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সুস্থ হলে তাঁকে আদালতে নেওয়া হলে তিনি বিচারকের কাছে তাঁর এ জবানবন্দি দেন। পড়ে তোফাজ্জেলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। 

কালকিনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তোফাজ্জেলকে  কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’