জঙ্গি কানেকশনে গ্রেপ্তার জামায়াতের আমির : সিটিটিসি
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান দাবি করেছেন, ‘জঙ্গি সংগঠনকে সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণে অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত কানেকশনে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
জামায়াতের আমিরের সম্পৃক্ততার ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে মো. আসাদুজ্জামান দাবি করেন, ‘গত ৯ নভেম্বর জামায়াতের আমিরের ছেলে ড. সাদিক সাইফুল্লাহ ওরফে রাফাতকে তার এক সহযোগীসহ সিলেট অঞ্চল থেকে আমরা গ্রেপ্তার করি। তার আগে আরও তিনজন জঙ্গি সদস্য যারা জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার ট্রেনিং ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য সিলেট থেকে হিজরত করেছিল, তাদের আমরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করি।’
‘তাদের দেওয়া তথ্যমতে, সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক ড. রাফাতকে আমরা গ্রেপ্তার করি। রাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, ছাত্র শিবির করতেন। রাফাতসহ তার গ্রেপ্তার সহযোগিরা শারকিয়ার ট্রেনিং ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য হিজরত করেছিল। এরা সবাই ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। ড. রাফাত শিবিরের সাথী ছিলেন। তার অপর সহযোগী ড. অরিফও শিবিরের সাথী পর্যায়ের নেতা ছিলেন।’
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি শারক্বিয়ার আগে আনসার আল ইসলামের মতাদর্শে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ওই সংগঠনে যোগ দেন ড. রাফাত। সেখানে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় অনেক সংখ্যক সদস্যকে আনসার আল ইসলামে যোগদান করান। পরবর্তীতে শারক্বিয়ার দাওয়াত পেয়ে তিনি তার সহযোগিসহ এ সংগঠনে যোগ দেন। সিলেট অঞ্চল থেকে ড. রাফাতের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম ১১ জন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বান্দরবানের কুকুচি ক্যাম্পের হিজরত করে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বান্দরবানের কুকিচি বা শারক্বিয়ার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে ড. রাফাত ফিরে আসেন। পরবর্তীতে তার অন্য কয়েকজন সহযোগী তাহিয়াতের নেতৃত্বে হিজরত করে। তাহিয়াত সর্বশেষ কুকুচি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ছিল।’
‘আমরা ড. রাফাতের কাছে জানতে পারি, ২০২১ সালে জুন মাসে তিনি ফিরে আসেন, তখন তার পিতার (ডা. শফিকুর রহমান) সম্মতিক্রমে এবং পিতার সঙ্গে কথা বলে ওখান থেকে ফিরে আসেন। তাদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জামায়াতের আমির চট্টগ্রাম থেকে দুটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে দেন। যাতে পুলিশি নজর এড়ানো যায়। এভাবে তারা কিছু ঢাকাতে এবং কিছু সিলেট অঞ্চলে ফেরত যায়।’
মো. আসাদুজ্জামান আরও দাবি করেন, ‘আমরা আরও জানতে পারি, ডা. শফিকুরের সিলেটের বাসায় ড. রাফাতসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা জঙ্গি সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। যার পুরো বিষয়টি ডা. শফিক অবগত ছিলেন। ক্ষেত্র বিশেষ তার সমর্থন পেয়েছেন এবং ড. রাফাতসহ যে ১১ জন হিজরত করেছেন, এর পুরো ব্যয়ভার শফিক নিজে বহন করেছেন। খরচ দিয়ে তিনি তাদের কুকুচি ক্যাম্পে পাঠিয়েছিলেন। এই কানেকশনে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।’