জন্মদিনের কথা বলে কিশোরীকে গণধর্ষণ, চার বন্ধু গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চারজন। ছবি : এনটিভি

জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে কিশোরীকে একটি বাসায় ডেকে নিয়ে যায় চারবন্ধু। কেক কাটার এক পর্যায়ে কিশোরীর কোমল পানীয়র গ্লাসে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয় ওই চারজন। কিশোরীটি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করে ওই চারজন। পুরো ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিওর মাধ্যমে ধারণও করে দুর্বৃত্তরা। 

গাজীপুরে গত ১৫ জানুয়ারি ওই ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার ওই চারজনের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় গাজীপুর থেকে। তার দেওয়া তথ্যে অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ময়মনসিংহ থেকে।

আজ শনিবার সকালে র‌্যাব ১১-এর গাজীপুর ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানান র‍্যাব ১১-এর কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা এলাকার শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া এলাকার ইমরান হাসান সুজন (১৯), ত্রিশালের গোলাভিটা এলাকার আহসান ওরফে হাসান (১৬) এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০)।

বিষয়টি ওই কিশোরী স্বজনদের কাছে প্রকাশ করলে তাকে ভয়-ভীতি এবং জীবননাশেরও হুমকি দেয় ওই চারজন। কিশোরীর মা শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। পরে কিশোরীর স্বজনরা র‍্যাবের কাছে আইনগত সাহায্য কামনা করেন।

র‌্যাব জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল জেলার রাজবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে আসামি শরীফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইমরান হাসান সুজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা, আহসান ওরফে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে গত ১৫ জানুয়ারি বিকেল তারা চার বন্ধু মিলে ডিকটিমকে জন্মদিনের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর একটি বাসায় জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে। একপর্যায়ে তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কোমল পানীয়র মাধ্যমে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশ্রিয়ে কৌশলে কিশোরীকে পান করান। এতে ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে গেলে তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।

এ সময় আসামি ইমরান হাসান সুজন তাঁর মোবাইল ফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে বলেও গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়।