জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত রাবির প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

Looks like you've blocked notifications!
জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সামির হোসেন। ছবি : এনটিভি

জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সামির হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া দিহট গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সামির হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়াও তাঁর চাচা, বাবা, ভাই ও দাদা মারধরের শিকার হয়েছেন। চাচা মো. আয়েতুল্লাহর মাথা ফেটে যাওয়ায় তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় সামির রাণীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে একই এলাকার মো. আমিন, জামিল, মোমিন, একরামুল হক, এবরান আলী, মো. শামীম, ইমাম, হায়দার আলী ও খোকন আলীকে অভিযুক্ত করেন।

ভুক্তভোগী সামির হোসেন জানান, তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁর একটি পা না থাকায় কৃত্রিম পা ব্যবহার করে চলাফেরা করেন৷ এতে তিনি ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না। পারিবারিক বিরোধের জেরে তাঁর বাবা, ভাই ও দাদাসহ সবাইকে মারধর শুরু করলে দূর থেকে তিনি সেই হামলার ভিডিও করেন। ভিডিও করার ফলে প্রতিবেশীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়।

সামির জানান, হামলায় তাঁর কপাল কেটে গেছে। এ ছাড়াও বুকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করেছে। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা থাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করার পরে তারা ফের হামলা চালিয়ে তাঁর চাচা আয়েতুল্লাহর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাঁর মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মারধরের কারণ জানতে চাইলে সামির বলেন, ‘আমার দাদার কিছু পৈতৃক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ভোগ করে আসছিলেন। আমি এসব জমির দলিল খুঁজে দেখি তারা অবৈধভাবে এসব জমি ভোগ করছে। বিষয়টি জমির দখলদারকে জানানোর পর থেকে তারা নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে বলেছে আমরা যেন জমির মালিকানা দাবি না করি। আজ আমার ছোট ভাই মো. মিলনকে এ বিষয়ে নানা রকম কথা বলতে থাকে। এ নিয়ে মিলন প্রতিবাদ জানালে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

জানতে চাইলে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, আহত সামির থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।