জলাবদ্ধতা নিরসনে বান্দরবানে ৬০০ মিটার ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানে ড্রেন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত। ছবি : সংগৃহীত

বান্দরবানে পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৬০০ মিটার ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে জেলা শহরের মেম্বরপাড়া, আর্মিপাড়া, হাফেজঘোনা, উজানীপাড়া, ছিদ্দিকনগর, বনরূপাপাড়া, নিউগুলশান, কালাঘাটসহ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ইউনিট অফিস ও স্থানীয়দের তথ্য মতে, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই বান্দরবান জেলা শহরের অধিকাংশ জায়গায় জলাবদ্ধতায় পানিতে ডুবে যায়। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয় এবং  পৌরবাসীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রচেষ্টায় পৌর অঞ্চলের মানুষের দুঃখকষ্ট লাঘবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে এই বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থ বছরে বান্দরবান প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয়ে এই উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। মেম্বরপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দার আবুল কালাম মুন্না বলেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় পৌর শহর। জলাবদ্ধতা নিরসনে পার্বত্য মন্ত্রীর এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

হাফেজঘোনার বাসিন্দার তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়ন পৌরবাসীর জনদুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে। পৌর শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে কমবে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধও।

এদিকে বান্দরবান শহরের জজকোর্ট-স্টেডিয়াম সড়কে নির্মাণাধীন ড্রেন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও কাজের মান তদারকি করতে দেখা গেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাতের। এ সময় তিনি টেকসই কাজ করার জন্য ঠিকাদার ও শ্রমিকদের নির্দেশনা দেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বান্দরবান ও লামা পৌরসভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে মাস্টার ড্রেন প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান পৌর শহরে মোট ৬০০ মিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি দ্রুত সরে যাবে। এতে করে জনদুর্ভোগ কমবে পৌরবাসীর। এটি পার্বত্যমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হচ্ছে।