জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
ঠাকুরগাঁও কালীবাড়ির নিজ বাসভবনে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সার্চ কমিটি আমরা মানি না। তাঁদের কাছে ইসি গঠনে নাম জমা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’ বিগত নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ মন্তব্য করে তিনি তাঁদের বিচার দাবি করেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চিরকাল ক্ষমতায় টিকে থাকতে বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে।’

‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি’ একথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হতাহত হয়েছে, গোলাগুলি হয়েছে। প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি। ফলে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা চলে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও আস্থা চলে গেছে। সুতরাং এখানে সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশন কোনো বিষয় না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের সময় কোন ধরনের সরকার থাকবে, তার ওপর সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করে।’

‘দলীয় সরকার বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে কখনোই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে না’ মন্তব্য করে ফখরুল আরও বলেন, ‘তাঁরা (আওয়ামী লীগ) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে। এভাবে সারা জীবন নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করেই তাঁরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।’

সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে কাদের নাম দিয়েছে? সার্চ কমিটিতে যাকে প্রধান করা হয়েছে, তিনি নিজেই আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিলেন। সার্চ কমিটির প্রধানের পিতা ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য এবং তাঁর ভাই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব। সুতরাং তাঁর কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করা যায় না।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘দলীয় সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় আইনকানুন তৈরি করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন দিলেই তা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্য গঠনে কাজ করছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলছি, চেষ্টা করছি। কথাবার্তা বলার পর ম্যাচিউর্ড হলে পরে তা জানানো হবে।’