জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত গুম-খুনকে সহনীয় করে ফেলেছে সরকার : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মঙ্গলবার জিয়া পরিষদ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

সরকার জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত গুম-খুনকে সহনীয় করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আজ মঙ্গলবার জিয়া পরিষদ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন রিজভী। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাঁর পরিবারের সবার সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে সরকারবিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নির্যাতন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় যন্ত্র অবৈধ ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গুম-খুন নির্যাতন হচ্ছে। বিরোধীদল দমন করার জন্য এমন কোনো অবৈধ পন্থা নেই, যা সরকার প্রয়োগ করেনি। সরকার জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত গুম-খুনকে সহনীয় করে ফেলেছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের গুম-খুন উচ্চারিত হচ্ছে। গুম-খুনের দায় সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত করে সরকারের কতিপয় ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি গোষ্ঠীর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হয়েছে। তাদের পাচারকৃত টাকা বাতিল হয়ে যাবে। তারপরেও সরকারের লজ্জা নাই।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই সরকার কাপুরুষ। অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম শুধু বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়ার কারণে তাঁকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সরকার সমালোচনা ভয় পায়, কারণ তাদের জনভিত্তি নাই। তাদের আশঙ্কা, জনগণের স্রোতে ভেসে যেতে পারে। এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর কোনো দোষ ত্রুটি খুঁজে পায়নি। তারপরেও কারাবন্দি করে রেখেছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে, এটা শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার রায়।’

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি লুতফর রহমানের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলামসহ জিয়া পরিষদের নেতারা।