জামালপুরে মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন
জামালপুরের বকশীগঞ্জে খাস জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবন্ধী মেয়ে এলে রানী হত্যা মামলায় মানিক মিয়া (৩৫) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ মামলায় অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খাঁন চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় দেন। খালাসপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন আব্দুর রাজ্জাক, মোকছেদুল ইসলাম ও মোমেনা বেগম।
দণ্ডপ্রাপ্ত মানিক মিয়া বকশীগঞ্জের গাজীরপাড়া গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বকশীগঞ্জের গাজীরপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে এলে রানীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মেয়েটির বাবা বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের আগস্ট মাসে পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত ২৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মানিককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপর তিন আসামি আব্দুর রাজ্জাক, মোকছেদুল ইসলাম ও মোমেনা বেগমের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক।