জামিনে মুক্তি পেলেন ‘টিকটক অপু’
সড়কে পথচারীকে মারধরের মামলায় টিকটক ভিডিও নির্মাতা ইয়াসীন আরাফাত অপু ওরফে অপু ভাই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অপু মুক্তি পান। তাঁর আইনজীবী জাহানারা বেগম এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'অপু মুক্তি পাওয়ার পর উত্তরা পূর্ব থানায় রাখা তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি ফোন আনতে গেছেন।'
এর আগে গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুন অর রশিদ অপুকে জামিন দেন। পরে তাঁর মুক্তিনামা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ জালাল।
গত ৩ আগস্ট টিকটকার অপুকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। সে সময় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর এক সহযোগী নাজমুলকেও।
এরপর অপুকে গত ৪ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজ তালুকদার তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। কিন্তু ওই দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে অপুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নথি থেকে জানা যায়, গত ২ আগস্ট উত্তরা ছয় নম্বর সেক্টরের আলাওল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা দখল করে টিকটকার অপু ও তাঁর বেশ কয়েকজন সহযোগী আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর বন্ধুরা গাড়ি নিয়ে ওই সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। সে সময় মেহেদী রাস্তা ছাড়তে হর্ন দেন। কেন হর্ন দেওয়া হলো, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
পরে অপু ও তারঁ সহযোগীরা মিলে মেহেদী হাসান ও তাঁর বন্ধুদের মারধর করেন। মারধরের ঘটনার সময় মেহেদী হাসানদের মুঠোফোনও ছিনতাই করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ আছে।
পরের দিন অর্থাৎ গত ৩ আগস্ট দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা এস এম মাহবুব আলম বাদী হয়ে মারামারি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে উত্তরা পূর্ব থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অপু ও সহযোগী নাজমুলকে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল অ্যাভিনিউয়ের ১২ নম্বর বাড়ির পাশের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টিকটকার অপুর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি। অপু বর্তমানে দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।