জামিন মেলেনি যুবলীগ নেতা খালেদের
অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ তাঁর পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
নথি থেকে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চার কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে উল্লখ করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগের ঘটনায় অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়। তাঁকে পরে র্যাব ৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এরপর তাঁকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ক্যাসিনোর মালিক হচ্ছেন আটক যুবলীগ নেতা খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া।
ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।