জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে হামলার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির লোগো। ছবি : সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতিবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি বিএনপির। অভিযোগের তীর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের দিকে। আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘গতকাল রোববার কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখা বিএনপির উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য জিঞ্জিরার কেরানীগঞ্জ বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে প্যাকেটিংয়ের সময় এক আওয়ামী নেতার নেতৃত্বে তাঁর সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। বিএনপির কার্যায়ের সামনে স্টেজ ভাঙচুর করে এবং ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। পরবর্তীতে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং কার্যালয়ের ভিতরে নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে ফটকে তালাবদ্ধ করে। এতে ৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হন।’

এ ছাড়া আজ বেলা ১২টায় খাগড়াছড়ির তবলছড়ি গ্রীন হিল কলেজে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হুমায়ন ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আহত তিনজন আহত হন।

রিজভী বলেন, ‘গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রের কর্মসূচি পালনের উদ্দেশে খাগড়াছড়ি মাটিরাংঙ্গা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় ২৮ জন নেতাকর্মী আহত হন।’

রিজভী জানান, আজ সাবেক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতির সময় পুরান ঢাকার নয়াবাজারস্থ ঢাকা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কার্যালয়ে তালা লাগানোসহ নেতাকর্মীদেরকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া বরিশাল উত্তর জেলার গৌরনদী উপজেলা বিএনপি শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দুইজন আহত হন।

রিজভী জানান, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় ৬ জন আহত হন।

রুহুল কবির রিজভী এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান এবং আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করেন।